মো: সাইফুল ইসলাম খোকন ::
চকরিয়া উপজেলার হারবাং ছড়া খালের বাজার সংলগ্ন ব্রিজটি ভেঙ্গে গেলে সরকার ওই এলাকার জনগনের সুবিধার্থে ব্রিজটি নতুন ভাবে নির্মানে জন্য টেন্ডার দিয়ে ঠিকাদার নিয়োগ করে। ওই ব্রিাজ নিমানের জন্য চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের বাসিন্দা আসলাম চৌধুরী এ ব্রিজটি নির্মানের দায়িত্ব পায়। ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্টান কাজ পাওয়ার পর এলাকার সুবিধার্থে দ্রুত গতিতে কাজ শেষ করে দেওয়ার কথা বলে পুরাতন ব্রিজটি ভেঙ্গ দিয়ে কাজ শুরু করে। পরে ওই ঠিকাদার কাজ শুরুর কিছুদিন পর থেমে যাওয়ার কারণে ব্রিজ নির্মান যথা সময়ে শেষ না হওয়ার কারনে স্থানীয়দের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী কবি, আনোয়ারুল আজিম, নুরুল কাদের, সাহাব উদ্দিন, জানায়, সরকার হারবাং এলাকার মানুষের সুবিধার্তে ভেঙ্গে যাওয়া ব্রিজটি নতুন ভাবে তৈরী করার উদ্যোগ নেয়। ঠিকাদার নিয়োগ করে। ওই ঠিকাদার কাজ শুরু করে। কিন্তু কাজ শুরু করে শেষ না করে মাঝ পথে বন্ধ করে দেয়। এতে করে জনগন হারবাং বাজার, মহাসড়ক কিংবা যাতায়তের সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে।
গতকাল স্থানীয় কিছু টেক্স্রী, রিক্সা চালকরা জানান, নতুন ব্রিজ হবে এ আশায় পাশে একটি কাঠের ব্রিজ করা হয়। এ কাঠের ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন শত শত সিএনজি ট্যাক্সিসহ বিভিন্ন যানবাহন বিকল্প কাঠের ব্রিজ দিয়ে চলাচল করছে। বর্তমানে ওই কাঠের ব্রিজটি নড়ে বড়ে হয়ে উঠেছে। যে কোন মুহুর্তে ভেঙ্গে যেতে পারে। দ্রুত ওই ব্রিজটির কাজ শেষ করে জনগনের দূরদশা থেকে মুক্তি দেয়ার জন্য তারা সরকারের কাছে দাবী জানিয়েছে।
বাজার পাড়া এলাকার মাষ্টার স্বপন জানান, হারবাং খালের উপর একটি ব্রিজ ছিল। গত দুই বছর আগে বর্ষার প্রবল পানির স্রোতে ও পুরাতন হওয়ায় ভেঙে যায়। এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে সরকার পুনরায় নতুন ব্রিজ করার জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করে। ওই ঠিকাদার কাজ না করে ফেলে রাখার কারণে স্থানীয়দের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে।
সূত্র জানায়, ব্রিজ ভেঙে অচল হওয়ার পর কর্তৃপক্ষ টেন্ডার আহ্বান করে। দুই বছর আগে ঠিকাদার নিযুক্ত করা হলেও প্রকল্পের কাজ শুরু হয় চলতি বছর। গত বর্ষা মওসুমে কোনো কাজ করা হয়নি। হারবাং বাহার সড়কের সিএনজি ট্যাক্সিচালক আব্দুল গণি জানান, খুবই ব্যস্ততম সড়কটি দীর্ঘ দিন হয়ে গেলেও সংস্কার হচ্ছে না। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফেলতির কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। হারবাং ইউনিয়েন সাবেক চেয়ারম্যান ওই ঠিকাদারের বোনের জামায় স্থানীয় লোকজন ও ছোট ছোট যান চলাচলের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে ভাঙা ব্রিজের পাশে কাঠের তৈরি একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে এ ব্রিজ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। যে কোন মুহুর্তে কাঠের তৈরী ব্রিজটি ভেঙ্গে যেতে পারে। বর্ষার আগে এ ব্রিজটি নির্মান না হলে হারবাংবাসীর দূর্ভোগ বাড়বে।
স্থানীয় লোকজন দ্রুত হারবাং বাজার এলাকার নির্মিত ব্রিজটির কাজ শেষ করার দাবী জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।
পাঠকের মতামত: